কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ গাইড, সময়, যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা।

কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ গাইড, সময়, যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা।
কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান।

কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে হাজার হাজার পর্যটক সমুদ্র সৈকত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। কক্সবাজার জেলার 10টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ নির্দেশিকা, সময়, যোগাযোগ এবং বাসস্থান, জনপ্রিয়তা, আকর্ষণ এবং পর্যটন সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন:

১. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত (Cox’s Bazar Beach)।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত, যা প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি কক্সবাজার শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

কেন জনপ্রিয়?

এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে খ্যাত। এখানে পর্যটকদের জন্য অপূর্ব দৃশ্য, জলক্রীড়া এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

কেন পর্যটকরা ঘুড়তে যায়?

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্ত পরিবেশ এবং সীফুডের জন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এক অনন্য গন্তব্য। পর্যটকরা এখানে সমুদ্রস্নান, বোটিং, সাঁতার এবং সৈকতে হাঁটতে আসেন।

ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের জন্য উত্তম সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে, যখন শীতল আবহাওয়া থাকে এবং সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এই সময় পর্যটকদের ভিড়ও কম থাকে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উপভোগ করা সম্ভব।

কিভাবে যাওয়া যায়?

কক্সবাজার শহরের জন্য ঢাকা থেকে সরাসরি বাস, ট্রেন বা বিমান সার্ভিস পাওয়া যায়। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে শহরের কেন্দ্র পর্যন্ত ট্যাক্সি বা রিকশা ব্যবহার করা যায়। এছাড়া, বিভিন্ন বাস সার্ভিস ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে।

থাকার ও খাবার ব্যবস্থা।

কক্সবাজারে থাকার জন্য নানা ধরনের হোটেল এবং রিসোর্ট রয়েছে, যেমন- ৫ স্টার হোটেল থেকে মধ্যম মানের হোটেল। খাবারের জন্য এখানে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায়, যেখানে সীফুড বিশেষ আকর্ষণ।

আরো পড়ুন:

২. ইষ্টার্ন বিচ (Inani Beach)।

কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ গাইড, সময়, যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা।
 ইষ্টার্ন বিচ (Inani Beach)।


ইষ্টার্ন বিচ কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি সমুদ্রের নীল জলরাশির জন্য বিখ্যাত এবং স্বচ্ছ পানি দ্বারা ঘেরা।

কেন জনপ্রিয়?

ইষ্টার্ন বিচের প্রশস্ত সৈকত এবং প্রবাল দ্বীপের সৌন্দর্য ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করে। এর পরিষ্কার পানি এবং শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

কেন পর্যটকরা ঘুড়তে যায়?

ইষ্টার্ন বিচের নিরিবিলি পরিবেশ এবং বিচের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করে। এখানকার সাঁতার, সি-স্পোর্টস এবং নির্জনতা তাদের কাছে আকর্ষণীয়।

ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

ইষ্টার্ন বিচ ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় অক্টোবর থেকে মার্চ। শীতের মৌসুমে সৈকতের পরিবেশ থাকে অত্যন্ত আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আরও আকর্ষণীয়।

কিভাবে যাওয়া যায়?

কক্সবাজার থেকে প্রাইভেট গাড়ি বা ট্যাক্সি ভাড়া করে ইষ্টার্ন বিচ যাওয়া যায়, যা প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাসের মাধ্যমে সরাসরি এখানে যাওয়া সম্ভব নয়, তবে স্থানীয় পরিবহন সেবা পাওয়া যায়।

থাকার ও খাবার ব্যবস্থা।

ইষ্টার্ন বিচে কমপ্লেক্স হোটেল বা রিসোর্ট পাওয়া যাবে, তবে কিছুটা সীমিত খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজার শহরে ফিরে গিয়ে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আরো পড়ুন:

৩. মহেশখালী দ্বীপ (Maheshkhali Island)।

কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ গাইড, সময়, যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা।
মহেশখালী দ্বীপ (Maheshkhali Island)।


মহেশখালী দ্বীপ কক্সবাজার শহরের কাছে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি একটি শান্তিপূর্ণ দ্বীপ, যেখানে উঁচু পাহাড় এবং পুরানো মন্দির রয়েছে।

কেন জনপ্রিয়?

এই দ্বীপটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং শান্ত পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। এখানে পাহাড়ি অঞ্চলের পাশাপাশি সমুদ্রের দৃশ্যও অনন্য।

কেন পর্যটকরা ঘুড়তে যায়?

মহেশখালী দ্বীপের সন্নিহিত ঝর্ণা, মন্দির এবং স্বতন্ত্র পরিবেশ পর্যটকদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এটি একান্তে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আদর্শ স্থান।

ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে। এই সময় সাগরের পরিবেশ শান্ত থাকে এবং পর্যটকরা দ্বীপের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান উপভোগ করতে পারেন।

কিভাবে যাওয়া যায়?

কক্সবাজার থেকে মহেশখালী দ্বীপে যেতে ট্রলার বা নৌকা নিতে হবে। কক্সবাজার সদর থেকে কক্সবাজার নৌকা ঘাটে এসে ট্রলার নিতে হবে, যা দ্বীপে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।

থাকার ও খাবার ব্যবস্থা।

মহেশখালী দ্বীপে থাকার জন্য কিছু রিসোর্ট এবং গেস্ট হাউস রয়েছে, তবে কক্সবাজার শহরে গিয়ে ভাল রিসোর্ট এবং খাবারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আরো পড়ুন:

৪. হিমছড়ি বিচ (Himchori Beach)।

কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ গাইড, সময়, যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা।
হিমছড়ি বিচ (Himchori Beach)।


হিমছড়ি বিচ কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এটি তার বিশাল ঝর্ণা এবং পাহাড়ি দৃশ্যের জন্য পরিচিত।

কেন জনপ্রিয়?

এই সৈকতটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়ি ঝর্ণা এবং শান্ত পরিবেশের জন্য জনপ্রিয়। এটি কক্সবাজারের অন্যতম আকর্ষণীয় সৈকত।

কেন পর্যটকরা ঘুড়তে যায়?

হিমছড়ি বিচের ঝর্ণা এবং শান্ত পরিবেশের কারণে এটি দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয়। পর্যটকরা এখানে ট্রেকিং এবং ছবি তোলার জন্য আসেন।

ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

হিমছড়ি বিচ ভ্রমণের জন্য অক্টোবর থেকে মার্চ মাস উত্তম সময়। শীতকালীন সময়ে সৈকতের সৌন্দর্য এবং ঝর্ণার পানির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে।

কিভাবে যাওয়া যায়?

কক্সবাজার শহর থেকে হিমছড়ি বিচ প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্থানীয় পরিবহন অথবা প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহার করে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব।

থাকার ও খাবার ব্যবস্থা।

হিমছড়ি বিচে থাকার জন্য হোটেল সুবিধা সীমিত, তবে কক্সবাজার শহরে গিয়ে আধুনিক রিসোর্ট ও খাবারের ব্যবস্থা পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন:

৫. সেন্টমার্টিন দ্বীপ (Saint Martin’s Island)।

কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ গাইড, সময়, যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ (Saint Martin’s Island)।


সেন্টমার্টিন দ্বীপ কক্সবাজার জেলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত এবং এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ।

কেন জনপ্রিয়?

এটি তার প্রবাল দ্বীপ, সাদা বালুকাময় সৈকত এবং স্বচ্ছ পানির জন্য বিখ্যাত। এটি সমুদ্রপ্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য।

কেন পর্যটকরা ঘুড়তে যায়?

সেন্টমার্টিন দ্বীপের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাঁতার, বোটিং এবং পানির নিচে জীবন দেখার অভিজ্ঞতা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এটি বিশেষত স্নোর্কেলিং এবং ডাইভিংয়ের জন্য জনপ্রিয়।

ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভাল সময় নভেম্বর থেকে মার্চ। এই সময়ে সমুদ্র শান্ত থাকে এবং দ্বীপের প্রবাল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

কিভাবে যাওয়া যায়?

কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যেতে হবে, তারপর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌকা বা ট্রলার নিয়ে যেতে হয়। এটি প্রায় ১ থেকে ১.৫ ঘণ্টার নৌযাত্রা।

থাকার ও খাবার ব্যবস্থা।

দ্বীপে কিছু রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে, তবে সুযোগ-সুবিধা সীমিত। স্থানীয় খাবারের জন্য সীফুড খেতে পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন:

৬. কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ (Cox’s Bazar Marine Drive)।

কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ গাইড, সময়, যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা।
কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ (Cox’s Bazar Marine Drive)।


কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজার শহর থেকে শুরু হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত চলে। এটি একটি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা, যা সমুদ্রের তীরবর্তী সুন্দর দৃশ্য প্রদান করে।

কেন জনপ্রিয়?

এই রাস্তা কক্সবাজারের দৃশ্যমান সৌন্দর্য উপভোগ করতে সহায়ক। সমুদ্রের উপর দিয়ে চলাচল করতে সক্ষম হওয়ায় এটি এক বিশেষ অভিজ্ঞতা।

কেন পর্যটকরা ঘুড়তে যায়?

পর্যটকরা এখানে সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করতে, ছবি তুলতে এবং প্রকৃতির সাথে একাত্ম হতে আসেন। এটি একটি সড়ক ট্রিপের জন্য সেরা স্থান।

ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণের জন্য অক্টোবর থেকে মার্চ মাস সবচেয়ে ভালো। এই সময় রাস্তার সৌন্দর্য এবং সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

কিভাবে যাওয়া যায়?

কক্সবাজার শহর থেকে মেরিন ড্রাইভ যেতে প্রাইভেট গাড়ি বা ট্যাক্সি নেওয়া যায়, যা শহরের কেন্দ্রে থেকে প্রায় ২০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।

থাকার ও খাবার ব্যবস্থা।

মেরিন ড্রাইভের কাছাকাছি কিছু রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে, তবে কক্সবাজার শহরে ফিরে গিয়ে খাবার এবং আরও উন্নত থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আরো পড়ুন:

৭. টেকনাফ (Teknaf)।

কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ গাইড, সময়, যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা।
টেকনাফ (Teknaf)।


টেকনাফ কক্সবাজার জেলার দক্ষিণে অবস্থিত একটি উপকূলীয় শহর। এটি বাংলাদেশের শেষ সীমানা, যেখানে নাফ নদী এবং বঙ্গোপসাগরের সংযোগ রয়েছে।

কেন জনপ্রিয়?

টেকনাফ তার সমুদ্র সৈকত, সেন্টমার্টিন দ্বীপের নৌপথ এবং সমুদ্রসংলগ্ন পরিবেশের জন্য বিখ্যাত।

কেন পর্যটকরা ঘুড়তে যায়?

টেকনাফে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের জন্য নৌকা নেয়, আর সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য জনপ্রিয়।

ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

টেকনাফ ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো শীতকাল, অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, যখন আবহাওয়া উপভোগযোগ্য এবং সমুদ্রের দৃশ্য অত্যন্ত সুন্দর।

কিভাবে যাওয়া যায়?

কক্সবাজার থেকে বাস বা প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে টেকনাফ পৌঁছানো যায়। এটি কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এবং প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে।

থাকার ও খাবার ব্যবস্থা।

টেকনাফে কিছু হোটেল এবং গেস্ট হাউস রয়েছে। খাবারের জন্য স্থানীয় রেস্টুরেন্টগুলোতে সীফুড পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন:

৮. কুল্লা পাহাড় (Kulaura Hill)।

কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ গাইড, সময়, যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা।
কুল্লা পাহাড় (Kulaura Hill)।


কুল্লা পাহাড় কক্সবাজার শহরের কাছাকাছি একটি পাহাড়ি স্থান, যা এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সবুজ পরিবেশের জন্য পরিচিত।

কেন জনপ্রিয়?

এই পাহাড়টি শীতকাল এবং বর্ষাকালে পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। এখানকার বিশুদ্ধ বাতাস এবং পাহাড়ি দৃশ্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।

কেন পর্যটকরা ঘুড়তে যায়?

এখানে পাহাড়ি ট্রেকিং, পাহাড়ের উপরের দৃশ্য এবং হাইকিং করার জন্য পর্যটকরা আসেন। এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ স্থান।

ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

কুল্লা পাহাড় ভ্রমণের জন্য শীতকাল বা বর্ষাকালে যাওয়া সবচেয়ে ভালো। বর্ষায় পাহাড়ের সবুজ দৃশ্য দেখতে আকর্ষণীয়।

কিভাবে যাওয়া যায়?

কক্সবাজার শহর থেকে স্থানীয় পরিবহন বা প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহার করে কুল্লা পাহাড় পৌঁছানো যায়, যা শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

থাকার ও খাবার ব্যবস্থা।

পাহাড়ে থাকার জন্য গেস্ট হাউস বা রিসোর্ট সুবিধা পাওয়া যায়, তবে খাবারের জন্য কক্সবাজার শহরে ফিরে যাওয়াই উত্তম।

আরো পড়ুন:

৯. লবণ মাঠ (Salt Field)।

কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ গাইড, সময়, যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা।
লবণ মাঠ (Salt Field)।


কক্সবাজারের লবণ মাঠে লবণ উৎপাদন করা হয় এবং এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম লবণ উৎপাদন ক্ষেত্র।

কেন জনপ্রিয়?

এই স্থানটি এর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং লবণ উৎপাদনের প্রক্রিয়া দেখার সুযোগের জন্য জনপ্রিয়।

কেন পর্যটকরা ঘুড়তে যায়?

পথচারীরা লবণ মাঠে গিয়ে লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে এবং ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজের অভিজ্ঞতা নিতে আসেন।

ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

লবণ মাঠ দেখার জন্য শীতকাল, বিশেষত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে উপযুক্ত। এ সময় লবণ সংগ্রহের মৌসুম এবং পরিবেশ শীতল থাকে।

কিভাবে যাওয়া যায়?

কক্সবাজার শহর থেকে স্থানীয় পরিবহন বা প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে লবণ মাঠে পৌঁছানো যায়, যা শহরের বাইরে অবস্থিত।

থাকার ও খাবার ব্যবস্থা।

লবণ মাঠ এলাকায় হোটেল বা থাকার ব্যবস্থা সীমিত, তবে কক্সবাজার শহরের হোটেলগুলোর সুবিধা নেওয়া যেতে পারে।

আরো পড়তে ক্লিক করুন:

১০. আঁচড়া গাঙ (Anchora River)।

কক্সবাজার জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান: ভ্রমণ গাইড, সময়, যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা।
আঁচড়া গাঙ (Anchora River)।


আঁচড়া গাঙ কক্সবাজার জেলার একটি নদী, যা তার শান্ত পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়ে পরিচিত।

কেন জনপ্রিয়?

আঁচড়া গাঙের প্রাকৃতিক পরিবেশ, বোটিং এবং নদীর তীরবর্তী দৃশ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

কেন পর্যটকরা ঘুড়তে যায়?

এটি সাঁতার, বোটিং এবং নদী সংলগ্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়।

ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

আঁচড়া গাঙে যাওয়ার জন্য শীতকাল বা বর্ষাকাল উত্তম সময়। বিশেষ করে বর্ষার সময় নদীটি বেশি প্রবাহিত থাকে এবং পানি আরও চিত্তাকর্ষক হয়ে ওঠে।

কিভাবে যাওয়া যায়?

কক্সবাজার শহর থেকে প্রাইভেট গাড়ি বা স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করে আঁচড়া গাঙ পৌঁছানো যায়, যা শহরের কাছাকাছি একটি সুন্দর নদী।

থাকার ও খাবার ব্যবস্থা।

আঁচড়া গাঙের পাশে থাকার সুবিধা সীমিত, তবে কক্সবাজার শহরের হোটেলগুলোর খাবার ও থাকার ব্যবস্থা খুবই উন্নত।


Post a Comment

0 Comments