![]() |
চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ গাইড। |
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার একটি জনপ্রিয় শহর এবং "চা বাগানের শহর" নামে পরিচিত। শ্রীমঙ্গল তার বিস্তীর্ণ চা বাগান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিশাল সবুজ পাহাড়ের জন্য বিখ্যাত। এখানে বিশ্বের অন্যতম সেরা চায়ের উৎপাদন হয় এবং পর্যটকদের জন্য চা বাগান ভ্রমণ একটি জনপ্রিয় আকর্ষণ। এছাড়া, শ্রীমঙ্গলে রয়েছে মণিপুরী সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ, যারা নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বজায় রেখেছে।
এছাড়া, এখানে রয়েছে কিছু মনোরম প্রকৃতির স্থান যেমন হাকালুকি হাওর, যেখানে আপনি জলজ প্রাণী ও পাখির উপস্থিতি দেখতে পারবেন। নিম্নে শ্রীমঙ্গলের জনপ্রিয় ১০টি ভ্রমনস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
![]() |
শ্রীমঙ্গল চা বাগান। |
শ্রীমঙ্গলকে "চায়ের রাজধানী" বলা হয় এবং এখানে রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম চা বাগান। এই বাগানগুলোর মধ্যে পুরান চা বাগান, সাদা চা বাগান এবং বিশ্বনাথ চা বাগান অন্যতম। আপনি চা বাগানে ঘুরে চায়ের চাষ, প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সিলেট অঞ্চলের এই চা বাগানগুলো বিশেষ করে নান্দনিক দৃশ্যের জন্য জনপ্রিয়।
শ্রীমঙ্গল শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১০-১৫ মিনিটের গাড়ি পথ।
নান্দনিক রিসোর্ট: ১,৫০০-৩,০০০ টাকা প্রতি রাত।
গ্রীন ভ্যালি রিসোর্ট: ৩,০০০-৫,০০০ টাকা প্রতি রাত।
২। হাকালুকি হাওর: শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য।
![]() |
হাকালুকি হাওর: শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য। |
হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওর এবং শ্রীমঙ্গলের একটি প্রধান পর্যটন গন্তব্য। "হাকালুকি" নামটি স্থানীয় ভাষা থেকে এসেছে, যেখানে "হাকা" মানে বড় এবং "লুকি" মানে হাওর। এই হাওরটি প্রায় ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং এটি পাখি প্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ স্থান। হাওরটি বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী, পাখি এবং জলজ উদ্ভিদের জন্য পরিচিত।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে হাকালুকি হাওর পৌঁছাতে সিএনজি, ট্যাক্সি বা বাস ব্যবহার করা যেতে পারে। শ্রীমঙ্গল থেকে হাওরের দূরত্ব প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার, এবং সেখানে পৌঁছাতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লাগে।
হাকালুকি রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া ৩,০০০ - ৫,০০০ টাকা
শ্রীমঙ্গল হোটেল: দৈনিক ভাড়া ১,৫০০ - ২,৫০০ টাকা
এখানে থাকার মাধ্যমে আপনি হাওরের সুন্দর পরিবেশ এবং প্রাণবন্ত প্রকৃতি উপভোগ করতে পারবেন।
৩। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান: প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য।
![]() |
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান: প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য। |
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ১৯৯৬ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং এর আয়তন প্রায় ২৫৭১ হেক্টর। এই উদ্যানটি শ্রীমঙ্গল শহরের কাছাকাছি অবস্থিত এবং এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, জীববৈচিত্র্য এবং ভ্রমণ উপযোগিতা এটিকে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্য করে তুলেছে। লাউয়াছড়া নামটি আসলে স্থানীয় গারো জনগণের ভাষা থেকে এসেছে। "লাউয়া" মানে "বড়" এবং "ছড়া" মানে "ছড়া বা নদী"।
লাউয়াছড়া উদ্যানটি বাংলাদেশের একটি হিজল ও গর্জন বন, যেখানে আপনি উপভোগ করতে পারবেন নানান প্রজাতির গাছপালা, পাখি এবং ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী। এখানে একাধিক প্রাকৃতিক হাঁটার পথ রয়েছে, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেইল হল বনভ্রমণ ট্রেইল, যা পর্যটকদের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের অবস্থান শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে, তাই শ্রীমঙ্গলে পৌঁছানোর পর আপনি সহজেই উদ্যানটি যেতে পারেন। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। আপনি বাস, ট্যাক্সি, বা সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে এখানে পৌঁছাতে পারেন। উদ্যানের প্রবেশদ্বার শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের উপর অবস্থিত।
চা বাগান রিসোর্ট:দৈনিক ভাড়া: ৩,০০০ - ৬,০০০ টাকা।
লেক রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া: ৪,৫০০ - ৮,০০০ টাকা।
সেন্ট্রাল চা বাগান হোটেল:দৈনিক ভাড়া: ১,৫০০ - ৩,০০০ টাকা।
রাজবাড়ি রিসোর্ট:দৈনিক ভাড়া: ৬,০০০ - ১২,০০০ টাকা।
৪। লাউয়াছড়া চা বাগান: এক অসাধারণ ভ্রমণ গন্তব্য।
![]() |
লাউয়াছড়া চা বাগান: এক অসাধারণ ভ্রমণ গন্তব্য। |
লাউয়াছড়া চা বাগান শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত একটি বিখ্যাত চা বাগান, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং চায়ের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখার জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। "লাউয়াছড়া" নামটি স্থানীয় গারো ভাষা থেকে এসেছে, যেখানে "লাউয়া" মানে "বড়" এবং "ছড়া" মানে "ছড়া বা নদী"। এই চা বাগানটি শ্রীমঙ্গলের মূল শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
শ্রীমঙ্গল থেকে লাউয়াছড়া চা বাগানে পৌঁছানোর জন্য আপনি বাস, ট্যাক্সি বা সিএনজি অটোরিকশা ব্যবহার করতে পারেন। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে এই চা বাগানে যাত্রার সময় প্রায় ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা।
চা বাগান রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া ৩,০০০ - ৬,০০০ টাকা।
লেক রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া ৪,৫০০ - ৮,০০০ টাকা।
এইসব জায়গায় থাকার মাধ্যমে আপনি চা বাগানের প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
৫। মণিপুরী পল্লী: শ্রীমঙ্গলের সাংস্কৃতিক রত্ন।
![]() |
মণিপুরী পল্লী: শ্রীমঙ্গলের সাংস্কৃতিক রত্ন। |
মণিপুরী পল্লী শ্রীমঙ্গলের একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম, যেখানে মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করে। এই পল্লীটি স্থানীয় সংস্কৃতি, পোশাক, ভাষা, এবং খাদ্যের জন্য পরিচিত। মণিপুরী পল্লীর নাম এসেছে মণিপুরী জনগণের নাম থেকে, যারা এখানে শতাব্দী প্রাচীন কৃষ্টি এবং জীবনযাত্রা ধরে রেখেছেন। এখানকার মিষ্টি "মণিপুরী পিঠা" এবং ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী নৃত্য ও গান অত্যন্ত জনপ্রিয়।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মণিপুরী পল্লী প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আপনি সহজেই সিএনজি, বাস, বা ট্যাক্সি নিয়ে সেখানে পৌঁছাতে পারেন। শ্রীমঙ্গল থেকে মণিপুরী পল্লী যাওয়ার সময় প্রায় ২০ মিনিট।
মণিপুরী রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া ২,৫০০ - ৪,০০০ টাকা।
শ্রীমঙ্গল হোটেল: দৈনিক ভাড়া ১,২০০ - ২,৫০০ টাকা।
এখানে থাকার মাধ্যমে আপনি মণিপুরী সংস্কৃতির সান্নিধ্যে থাকতে পারবেন।
৬। গারো পাহাড়: শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
![]() |
গারো পাহাড়: শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। |
গারো পাহাড় শ্রীমঙ্গলের একটি অপরূপ পাহাড়ি এলাকা, যা স্থানীয় গারো জনগণের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। এই পাহাড়টি বাংলাদেশের এক অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান, যা পর্যটকদের জন্য ট্রেকিং ও হাইকিং করার আদর্শ গন্তব্য। গারো পাহাড়ের শান্ত পরিবেশ, সবুজ গাছপালা এবং পাহাড়ি জীববৈচিত্র্য মুগ্ধকর। এখানকার অরণ্য ও প্রকৃতি ভ্রমণকারীদের এক বিশেষ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে গারো পাহাড় পৌঁছাতে সিএনজি বা ট্যাক্সি ব্যবহার করা যেতে পারে। শ্রীমঙ্গল থেকে গারো পাহাড়ের দূরত্ব প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার এবং যেতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লাগে।
গারো পাহাড় রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া ৩,০০০ - ৫,০০০ টাকা।
শ্রীমঙ্গল হোটেল: দৈনিক ভাড়া ১,২০০ - ২,৫০০ টাকা।
এখানে থাকার মাধ্যমে আপনি পাহাড়ি প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।
৭। রেইন ফরেস্ট: শ্রীমঙ্গলের অরণ্যরাজ্য।
![]() |
রেইন ফরেস্ট: শ্রীমঙ্গলের অরণ্যরাজ্য। |
রেইন ফরেস্ট শ্রীমঙ্গলের একটি প্রাকৃতিক বনাঞ্চল, যা তার সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য এবং অমূল্য বনজ সম্পদের জন্য পরিচিত। এই অরণ্যটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃষ্টিপাত প্রাপ্ত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত, যার ফলে এখানে গাছপালা ও জীবজন্তুর বিরাট বৈচিত্র্য রয়েছে। রেইন ফরেস্টে আপনি বিরল প্রজাতির পাখি, প্রাণী, এবং অমূল্য উদ্ভিদ দেখতে পারবেন। এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে রেইন ফরেস্ট পৌঁছাতে সিএনজি বা ট্যাক্সি ব্যবহার করা যেতে পারে। শ্রীমঙ্গল থেকে রেইন ফরেস্টের দূরত্ব প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার, এবং পৌঁছানোর জন্য প্রায় ৩০-৪০ মিনিট সময় লাগে।
রেইন ফরেস্ট রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া ৩,৫০০ - ৬,০০০ টাকা।
শ্রীমঙ্গল হোটেল: দৈনিক ভাড়া ১,২০০ - ২,৫০০ টাকা।
এখানে থাকার মাধ্যমে আপনি প্রকৃতির মধ্যে এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।
৮। রাত্রি বেলার জঙ্গল: শ্রীমঙ্গলের রহস্যময় অভিজ্ঞতা।
![]() |
রাত্রি বেলার জঙ্গল: শ্রীমঙ্গলের রহস্যময় অভিজ্ঞতা। |
রাত্রি বেলার জঙ্গল শ্রীমঙ্গলের একটি বিশেষ পর্যটন গন্তব্য, যেখানে আপনি রাতে জঙ্গলের অন্ধকার পরিবেশে প্রকৃতির সঙ্গ উপভোগ করতে পারবেন। এই নামটি স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলিত এবং এটি জঙ্গল এলাকার অদ্ভুত শীতল পরিবেশ ও রাতে বন্যপ্রাণীর কণ্ঠস্বর শোনার অভিজ্ঞতা দ্বারা অনুপ্রাণিত। এখানে আপনি বিভিন্ন বন্যপ্রাণী, পাখি এবং প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অনুভব করতে পারবেন, বিশেষত রাতের বেলা, যখন জঙ্গল পুরোপুরি জীবিত হয়ে ওঠে।
শ্রীমঙ্গল থেকে রাত্রি বেলার জঙ্গল পৌঁছাতে সিএনজি বা ট্যাক্সি ব্যবহার করা যেতে পারে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে এখানে পৌঁছানোর জন্য প্রায় ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে। এটি শ্রীমঙ্গল শহরের কাছাকাছি অবস্থিত।
নাইট ফল রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া ৩,৫০০ - ৬,০০০ টাকা।
শ্রীমঙ্গল হোটেল: দৈনিক ভাড়া ১,২০০ - ২,৫০০ টাকা।
এখানে থাকার মাধ্যমে আপনি রাতে প্রকৃতির সঙ্গ উপভোগ করতে পারবেন এবং জঙ্গলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
৯। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান: শ্রীমঙ্গলের অপূর্ব প্রাকৃতিক রত্ন।
![]() |
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল, যা শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত। উদ্যানটির নাম "সাতছড়ি" এসেছে এখানে থাকা সাতটি প্রাকৃতিক জলাশয়ের নামানুসারে। এই উদ্যানটি ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর আয়তন প্রায় ২৪১৫ হেক্টর। সাতছড়ি উদ্যানটি জীববৈচিত্র্য, বিশেষ করে বন্যপ্রাণী এবং পাখির জন্য পরিচিত। এখানে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ, পাখি এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণী দেখা যায়, যা এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্যে পরিণত করেছে।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান পৌঁছাতে সিএনজি, ট্যাক্সি বা বাস ব্যবহার করা যেতে পারে। শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার, এবং যাত্রার সময় প্রায় ৩০-৪০ মিনিট।
সাতছড়ি রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া ৩,৫০০ - ৫,০০০ টাকা।
শ্রীমঙ্গল হোটেল: দৈনিক ভাড়া ১,৫০০ - ২,৫০০ টাকা।
লেক রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া ৪,৫০০ - ৮,০০০ টাকা।
এখানে থাকার মাধ্যমে আপনি সাতছড়ি উদ্যানের সবুজ বনে ট্রেকিং করতে পারেন এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতে পারবেন।
১০। বাংলাদেশ চা বোর্ড মিউজিয়াম: শ্রীমঙ্গলের চা ইতিহাসের সাক্ষী।
![]() |
বাংলাদেশ চা বোর্ড মিউজিয়াম। |
বাংলাদেশ চা বোর্ড মিউজিয়াম বাংলাদেশের চায়ের ঐতিহ্য এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। শ্রীমঙ্গল শহরে অবস্থিত এই মিউজিয়ামটি বাংলাদেশের চা শিল্পের উত্থান, চা উৎপাদনের প্রক্রিয়া, এবং চায়ের সাথে সম্পর্কিত নানা ঐতিহ্যকে উপস্থাপন করে। এখানে আপনি চায়ের উৎপাদন পদ্ধতি, পুরনো চায়ের সরঞ্জাম, এবং দেশের চা ইতিহাসের নানা তথ্য জানতে পারবেন। মিউজিয়ামটির প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের চা শিল্পকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে করা হয়।
শ্রীমঙ্গল শহরের কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ চা বোর্ড মিউজিয়াম মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা সহজেই সিএনজি, ট্যাক্সি বা রিকশা দিয়ে পৌঁছানো সম্ভব। এটি শ্রীমঙ্গল শহরের প্রধান সড়কের কাছাকাছি অবস্থান।
চা বাগান রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া ৩,০০০ - ৬,০০০ টাকা।
লেক রিসোর্ট: দৈনিক ভাড়া ৪,৫০০ - ৮,০০০ টাকা।
শ্রীমঙ্গল হোটেল: দৈনিক ভাড়া ১,২০০ - ২,৫০০ টাকা।
এইসব জায়গায় থাকার মাধ্যমে আপনি শ্রীমঙ্গলের চা বাগানগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন এবং মিউজিয়ামের চা ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
0 Comments