দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের আদি ও পুরাতন জেলা। এই জেলায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও পুরা কীর্তি আছে ,যাহা দর্শক তথা ভ্রমন পিপাষুদের দৃষ্টি আকর্ষন করে। এই রকম কিছু
দর্শনীয় স্থান ও পুরা কীর্তি সম্পর্কে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হলো।
🎓 হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (HSTU), দিনাজপুর।
👉সুন্দর ও সবুজ ক্যাম্পাস – বিস্তৃত সবুজ মাঠ, সুসজ্জিত বাগান, লেক ও শীতল ছায়াঘেরা পথ যে কাউকে মুগ্ধ করে।
👉শান্তিপূর্ণ পরিবেশ – শহরের কোলাহল থেকে দূরে, শিক্ষাবান্ধব ও মনোরম পরিবেশ।
👉ছবি তোলার জন্য আদর্শ স্থান – ক্যাম্পাসে রয়েছে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক ও স্থাপত্যিক স্থান, যা ফটোগ্রাফারদের পছন্দ।
👉সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা Book Fair সময় – উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
👉পাশেই রামসাগর, রাজবাড়ি, স্বপ্নপুরী ইত্যাদি – একসাথে একাধিক স্পট ঘোরা সম্ভব।
দিনাজপুর শহর থেকে HSTU-এর দূরত্ব: প্রায় ১৩ কিলোমিটার।
🚗 যাতায়াত ব্যবস্থা:
বাস/রিকশা/অটো: শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে সিএনজি অটো ও রিকশা পাওয়া যায়।
নিজস্ব গাড়ি বা বাইক: রাস্তা পাকা ও ভালো মানের, সহজেই যাওয়া যায়।
রেলযোগে: দেশের যেকোনো স্থান থেকে ট্রেনে দিনাজপুর পৌঁছে, এরপর লোকাল পরিবহনে HSTU যাওয়া যায়।
গ) ভ্রমণের উপযুক্ত সময়:
✅ শীতকাল (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) – সবচেয়ে আরামদায়ক সময়, ঠাণ্ডা ও শুকনো আবহাওয়া থাকে।
✅ বসন্তকাল (ফাল্গুন-চৈত্র) – গাছের পুষ্পবৃক্ষ ও রঙিন ফুল ক্যাম্পাসকে করে তোলে অপূর্ব।
🚫 বর্ষাকালে (জুন-আগস্ট) – বৃষ্টি ও কাদা থাকার কারণে ক্যাম্পাস ভ্রমণ কিছুটা অসুবিধাজনক হতে পারে।
👉আধুনিক ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস
👉শিক্ষার্থীদের কৃতিত্ব ও প্রযুক্তিমুখী পরিবেশ
👉বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা ও মেলা আয়োজন
👉ছাত্রছাত্রীদের সাংস্কৃতিক চর্চা ও প্রাণবন্ততা
👉গুগল ম্যাপে ‘Must-visit place in Dinajpur’ হিসেবে অনেকবার মার্ক হয়েছে
👉বহিরাগত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত এলাকা (সীমিত সময়ে)
🏨 থাকার ব্যবস্থা:
দিনাজপুর শহরে বেশ কিছু মানসম্মত হোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে যেমন:
🛌Hotel Diamond
🛌Hotel Al Rashid
🛌Zabeer Hotel International (উন্নতমানের)
🛌Hotel Unique.
🍽️ খাবারের ব্যবস্থা:
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যান্টিন রয়েছে।
ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় ছোটখাটো হোটেল, ফাস্ট ফুড দোকান রয়েছে।
দিনাজপুর শহরে বিভিন্ন মানের রেস্টুরেন্ট যেমন:
Bonoful Restaurant
Albaik Express
Chilli & Pepper
এবং স্থানীয় খাবার: সিদল ভর্তা, দই, কাঁঠাল ইত্যাদি জনপ্রিয়।
🌳 স্বপ্নপুরী বিনোদন পার্ক :Shopnopuri Amusement Park.
ক) কেন পর্যটকরা ঘুরতে যায়?
বৃহদাকার ও বৈচিত্র্যময় বিনোদন কেন্দ্র — প্রায় ৪০০ একর এলাকাজুড়ে কৃত্রিম লেক, ঝর্ণা, পাহাড়, উদ্যান, ফুলবাগান, ভাস্কর্য, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর এবং বিভিন্ন রাইডস রয়েছে।
চিত্তবিনোদন ও শিক্ষামূলক সফর — শিশু ও পরিবারদের জন্য স্পিডবোট, চারুকলা প্রদর্শনী (‘রংধনু আর্ট গ্যালারি’, ‘মহা‑মায়া ইন্দ্রজাল’ জাদু), অনন্য প্রতিকৃতি (রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, ভাস্কর্য)।
নাটক ও সিনেমার শুটিং লোকেশন — শতাধিক বাংলা সিনেমা ও নাটক এখানে রেকর্ড হয়েছে, যা দর্শকদের আকর্ষণ করে ।
কর্মসংস্থান ও সামাজিক গুরুত্ব — পর্যন্ত প্রায় ৪০০০ কর্মী সেখানে কাজ করেন, একটি সামাজিক বিনিয়োগ প্রকল্প হিসেবে পরিচিত।
খ) কিভাবে যাওয়া যায়?
অবস্থান: নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ, কুশদহ ইউনিয়নের খালিপুর মৌজায়, দিনাজপুর জেলা শহর থেকে ≈৫২ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
যাতায়াত:
বাস বা রেল: ঢাকা থেকে দিনাজপুর গামী বাস ও ট্রেনে → দিনাজপুর পৌঁছে বাস/রিকশা/অটোতে স্বপ্নপুরীতে যাওয়া যায়।
লোকাল রুট: দিনাজপুর সদর থেকে → ফুলবাড়ী → আফতাবগঞ্জ হাট হয়ে স্বপ্নপুরী পর্যন্ত পাকা রাস্তা রয়েছে।
গ) ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
✅শীতকাল (নভেম্বর–ফেব্রুয়ারি): সবচেয়ে উপযুক্ত সময়, আবহাওয়া শীতল ও পরিষ্কার থাকে।
✅বসন্তকাল (ফাল্গুন–চৈত্র): ফুল আর উদ্ভিদের ভরা পরিবেশ ভ্রমণের আকর্ষণ বাড়ায়।
🚫বর্ষাকাল (জুন–আগস্ট): ভারী বর্ষণে কাদা হয়, ভ্রমণ কিছুটা কঠিন হতে পারে।
ঘ) কেন জনপ্রিয়?
বৈচিত্র্যময় বিনোদন উপকরণ: রাইডস, খেলার ব্যবস্থা, চিড়িয়াখানা, ছবি-প্রতিমা, মিউজিয়াম, আর্ট গ্যালারি, জাদুঘর—সবই এক জায়গায় উপভোগযোগ্য।
পর্যটকদের বেড়াবার সুবিধা: পর্যটকদের বেড়াবার সুবিধার কারনে দেশের বিভিন্ন শহরের মানুষ ছুটে আসে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণে।
নিরাপত্তা ও সেবা: নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পরিচ্ছন্নতা ও আয়োজনের সুব্যবস্থা রয়েছে।
ঙ) থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা।
রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা: পার্কেই রয়েছে:
ভিআইপি কুঞ্জ (যেমন সন্ধ্যাতারা, নিশিপদ্ম, নীলপরী, রজনীগন্ধা) ৫টি,
মাঝারি শ্রেণির রেস্ট হাউস ≈১৪–২০টি এবং সাধারণ রুম ≈৮টি।
এসি রুমের ভাড়া ≈১৫০০–২০০০ টাকা, নন‑এসি রুম ≈১০০০–১২০০ টাকা (২৪ ঘণ্টা)।
খাবার ব্যবস্থাপনা:
পার্ক অভ্যন্তরে রেস্তোরাঁ, বেকারি, কসমেটিক ও ভাড়া চুলা-পাতিল সুবিধা রয়েছে, খাবার বিক্রির সুব্যবস্থা করা আছে ।
🏛️ রামসাগর দীঘি ও রামসাগর জাতীয় উদ্যান, দিনাজপুর:Ramsagar Dighi and National Park, Dinajpur.

বায়ুমন্ডল ও পাখিপ্রজাতির বৈচিত্র্য – স্থল ও জলভিত্তির পাখি (যেমন, স্যান্ড পাইপার, রিভার টার্ন, গ্রে ও পার্পল হেরন), হরিণ, বানর, পায়থন ও বন্যজন্তু পর্যবেক্ষণের সুযোগ থাকে।
অবস্থান: দিনাজপুর শহর থেকে ≈ ৮ কিমি দক্ষিণে তাজপুর গ্রামে অবস্থিত।
বাসে(By bus): গাবতলী, কল্যাণপুর ও উত্তরা থেকে Dinajpur‑গামী বাস; ভাড়া ৬০০–১,০০০ টাকা (এসি বা নন‑এসি)।
ট্রেনে(By train): কমলাপুর থেকে একতা এক্সপ্রেস বা দূতযান; ভাড়া ১৮০–৬০০ টাকা, ক্লাস অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
বিমানে(By plane): ঢাকা থেকে সৈদপুর বিমানবন্দর (≈৬০ কিমি দূরে), ফ্লাইট ≈৪,০০০–৫,০০০ টাকা; এরপর সড়ক পথে Dinajpur যাওয়া হয় (১.৫–২ ঘন্টা)।
সিএনজি অটো, ইজিবাইক বা রিকশা দ্বারা যাওয়া যায়; ভাড়া ২০–২০০ টাকা, যাত্রায় ৩০–৪০ মিনিট সময় লাগে।
🚫
বর্ষাকাল (জুন–সেপ্টেম্বর) – ভারী বর্ষণ, মশার প্রকোপ এবং কাদা হওয়ায় ভ্রমণে অস্বস্তি হতে পারে; হঠাৎ বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকা বাঞ্ছনীয়।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বৃহৎ ও প্রাচীন মানবসৃষ্ট জলাধারগুলোর মধ্যে একটি।
বন বিভাগের বাংলো – বন বিভাগ অনুমোদন সাপেক্ষে একতলা বাংলোতে থাকতে পারেন; সাধারণ রুম Tk ৫০০/রাত, এসি রুম Tk ১০০০/রাত।
🌳সুখ সাগর ইকোপার্ক:Sukh Sagar Ecopark.
পর্যটন উন্নয়ন প্রকল্প — বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আধুনিকায়িত ইকোপার্কটি তৈরি করা হয়েছে, যা প্রাকৃতিক ও সামাজিক উভয় দিক বিবেচনায় পরিকল্পিত স্থান।
অবস্থান: দিনাজপুর শহর থেকে ≈ ২ কিমি উত্তর-পূর্বে, রাজবাটী এলাকায় অবস্থিত।
শহরের কেন্দ্র থেকে অটো, রিকশা বা সিএনজি অটোরাইটোযোগে সহজেই যাওয়া যায়। ভাড়া ≈৩০–৫০ টাকা, সময় নিতে পারে ১৫–২০ মিনিট।
দিনাজপুর রাজবাড়ি থেকে মাত্র কয়েকশ’ গজ হাঁটলেই পৌঁছে যান, যা বয়ে আনে আরও মনোরম অভিজ্ঞতা।
✅শীতকাল (নভেম্বর–ফেব্রুয়ারি): সারা বছরের মধ্যে পর্যটনের সবচেয়ে আরামদায়ী সময়। এ সময় সাইবেরিয়ার অতিথি পাখির আগমন ও কোলাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বড় হয়।
🚫
সকাল ও বিকেল: আলো-ছায়া ও তাপমাত্রা সমন্বয় ভ্রমণের জন্য আদর্শ। প্রচন্ড বিকেল কিংবা বৃষ্টির সময় এড়িয়ে চলাই ভালো।
পরিকল্পিত বিনোদন ও নিরাপদ স্থান: বন ও জলাধারকে কেন্দ্র করে ইকোপার্কের আধুনিক আধার রয়েছে — পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ সংস্কারমাধ্যমে জলাভূমির সংরক্ষণগত উদ্যোগসহ একটি পর্যটন কেন্দ্র বিতরণ করে।
ইকোপার্কে সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নেই, তবে দিনাজপুর শহরে অনেক গেস্ট হাউস ও হোটেল রয়েছে; যেমন Hotel Diamond, Hotel Al Rashid, etc বেশি সুবিধাজনক।
দিনের সফরে সহজেই হঠাৎ ফিরতি সম্ভব।
পার্ক সংলগ্ন ক্ষুদ্র কিওস্ক ও রেস্টপ্লেসে স্ন্যাক্স, ঠান্ডা পানীয় পাওয়া যায়।
দিনাজপুর শহরে রেস্টুরেন্ট ও স্থানীয় খাবার বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে, যা বেসি স্ট্যান্ডার্ড বিশিষ্ট।
🏛️ কান্তজিউ মন্দির:Kantjiu Temple (কান্তনগর মন্দির)।

বিশ্বমানের টেরাকোটা শিল্প — মন্দিরটির বাইরের দেয়াল জুড়ে মোট প্রায় ১৫,০০০ প্লেক তৈরি করা হয়েছে, যেখানে মহাভারত, রামায়ণ, কৃষ্ণের জীবন ও ১৮শ শতকের গ্রামজীবনের নানান দৃশ্য ফুটে উঠেছে।
ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব — রাজা প্রনাথ ১৭০৪ সালে নির্মাণ শুরু করেন, এবং ১৭২২ সালে তাঁর পুত্র রাজা রমনাথ এটি সম্পন্ন করেন। মন্দিরটি কৃষ্ণ ও রুক্মিণীর উদ্দেশ্যে নির্মিত।
ফটোগ্রাফির স্বর্গ — সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তে টেরাকোটার টেক্সচার ও ভাস্কর্যবিজ্ঞান অপরূপভাবে ফুটে ওঠে, যা ফটোগ্রাফারদের আকৃষ্ট করে।
অবস্থান: দিনাজপুর শহর থেকে ≈২০–২১ কিমি উত্তর দিকে কান্তনগর গ্রামে, ধেপা নদীর তীরে।
বিমানে (By plane): ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে (≈৬০–৭০ কিমি), সেখান থেকে গাড়ি/বাসে দিনাজপুর পৌঁছান।
ট্রেনে (By train): একতা এক্সপ্রেস বা দূতযান ট্রেনে ঢাকা থেকে দিনাজপুর (৭–৯ ঘণ্টা), ভাড়া Tk ৫৭৫–১,৯৭৮।
বাসে (By bus): গাবতলী, উত্তরা থেকে দিনাজপুর গামী বাস (৬০০–১,০০০ টাকা, ৭–১০ ঘণ্টা)।
বাস → Kantanagar নামক স্টপ → সিএনজি অটো বা রিকশা (≈৩০–৪০ মিনিট, Tk ৩০–১০০)।
সরাসরি CNG ট্যাক্সিও পাওয়া যায়, পূর্ণ দিন অপেক্ষা সহ ভাড়া Tk ১০০০।
উন্নত রক্ষণাবেক্ষণ: বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে সংরক্ষিত ও সংস্কার করা একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য।
Kantanagar-এ Kantanagar Parjatan Motel (রামসাগরের পাশে) রয়েছে।
দিনাজপুর শহরে Hotel Diamond, Hotel Al Rashid, Tourist Motel, Dak Bungalow প্রভৃতি হোটেল সুবিধাজনক।
শহরে পাওয়া যায় বিরিয়ানি, মাছের কারি, স্থানীয় সিংগারা, পিঠা ও মিষ্টি—বিশেষ করে Ram Bilash er Mishti (Chamcham, Katabhog, রসগোল্লা)।
মন্দির এলাকায় সাধারণ চা স্টল ও স্ন্যাক্স পাওয়া সম্ভব; শহরে ফিরে আরও বিস্তৃত খাবারের সুযোগ আছে।
🕌 চেহেলগাজী শাহী মসজিদ ও মাজার:Chehelgazi Shahi Mosque and Shrine.
ক) কেন পর্যটকরা ঘুরতে যায়?
৬০০ বছরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব – ১৪৬০ সালে নির্মিত এই মসজিদ ও মাজারে ৪০ জন গাজীর সমাহিত কবর রক্ষা করা হয়েছে; ‘চেহেল’ অর্থ ‘চল্লিশ’।
আধ্যাত্মিক ও চিরশান্তি অনুভব – “Therapeutic resource” হিসেবে বিবেচিত, বিশেষ করে মাজারের চারিপাশে প্রার্থনা ও শান্তিচিন্তাকারীদের আনাগোনা থাকে।
স্থানীয় বিশ্বাস – অনেকেই বলেন মাজারে এসে প্রার্থনা করলে ইচ্ছা পূরণ হয়।
খ) কিভাবে যাওয়া যায়?
অবস্থান: দিনাজপুর শহর থেকে ≈৫–৬ কিমি উত্তরে, চেহেলগাজী ইউনিয়নে, সড়কপথ দিয়ে ১০–২০ টাকায় অটো/রিকশা পাওয়া যায়।
বাস/ট্রেন/বিমান: ঢাকা থেকে দিনাজপুরে পৌঁছে অটো/রিকশা ব্যবহার করে মাজার যেতে পারেন।
গ) ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
বছরের যেকোনো সময়ই প্রশাসনিকভাবে খোলা; তবে জানুয়ারি–মার্চে আবহাওয়া ভালো থাকে, যা আরামদায়ক চারিদিকে ঘুরে দেখার জন্য। দিনাজপুরের আবহাওয়া Cwa (মনসুন‑প্রভাবিত), গ্রীষ্মে গরম, বর্ষাকালে ভিজা হওয়ায় স্যালাইন ধরে রাখা বাঞ্ছনীয়।
ঘ) কেন জনপ্রিয়?
ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক কেন্দ্র – চেহেলগাজীর মাজার ও মসজিদে হাজারো মানুষের ভিড় থাকে, বিশেষ করে শুক্রবার ও পবিত্র মাসে।
অধিক সংরক্ষণ নেই – তবে এর প্রাচীন পরিবেশ, টেরিটোরিয়াল গুরুত্ব ও লোক বিশ্বাসের কারণে অ্যাট্রাকশন স্থায়ীভাবে জনপ্রিয়।
ঙ) থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা।
🛏️থাকার ব্যবস্থা:
মাজার-সন্নিহিত এলাকায় নেই কোনো সরকারি লজিং সুবিধা।
দিনাজপুর শহরে কার্গো ব্যবস্থা রয়েছে — Hotel Diamond, Hotel Al Rashid, Zabeer Hotel ইত্যাদি থেকে ৫০০–২২০০ টাকার রেঞ্জে রুম পাওয়া যায়।
🍽️খাবারের ব্যবস্থা:
মাজার সংলগ্ন ছোট চা–স্ন্যাক্স স্টল রয়েছে — চা, বিস্কুট, হালকা খাবার সহজেই পাওয়া যায়।
শহরে ফেরার পর বড় হোটেল স্টাইলে স্থানীয় পছন্দের খাওয়া-দাওয়া পাওয়া যায়।
🌳নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য:Nawabganj National Park.
ক) কেন পর্যটকরা ঘুরতে যায়?
বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত বনের সৌন্দর্য: প্রায় ৫১৮ হেক্টরের মধ্যে শাল ও সেগুন প্রধান, এছাড়াও ডিগাছ, জাম, ইউক্যালিপটাস ও অর্কিডসহ ২০–৩০ প্রজাতির বনজ উদ্ভিদ রয়েছে ।
বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্য: বনবিড়াল, খেঁকশিয়াল, মেছো-বাঘ, বন ডাকাত (জ্যাকাল), রিংটেইল মেঙ্কি, ফিশিং ক্যাট, সাপ ও বিভিন্ন পাখি — যেমন কিংফিশার, হর্ণবিল, স্পটেড আউল, ওবানেক — পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
নদী-বিল ও কাঠের পুল: কয়েকশ একরের আশুরার বিল, পদ্ম ও শাপলা-ফুলে ভরা; ৯০০ মিটার লম্বা ‘Sheikh Fazilatunnesa Bridge’–এ হাঁটা অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়।
খ) কিভাবে যাওয়া যায়?
দিনাজপুর শহর থেকে: প্রায় ১ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। স্থানীয় বাস, রিকশা বা অটো যাওয়ার ব্যবস্থা সহজ।
ঢাকা/রাজশাহী থেকে: বাস বা ট্রেনে দিনাজপুর পৌঁছে ঐতিহ্যবাহী গণপরিবহনে উদ্যানে যাওয়া যায়। বাতায়বাহিত ম্যাপ ও সাইনবোর্ড থাকার কারণে পথ অনুসরণ সহজ।
গ) ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
✅শীতকাল (নভেম্বর–ফেব্রুয়ারি): আবহাওয়া শুষ্ক ও ঠাণ্ডা, হাঁটাহাঁটি, বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণ ও পক্ষীচিত্রগ্রহণের জন্য এ সময় সবচেয়ে ভালো।
✅বসন্ত (ফাল্গুন–চৈত্র): মৎস্য ও বিলজুড়ে ফোটে পদ্ম-শাপলা; জনপ্রিয়তা বাড়ে।
🚫বর্ষা (জুন–সেপ্টেম্বর): উদ্যান কাদামাখা হয় ও পানি উচ্চ হয়—এই সময় এড়িয়ে চলাই ভালো।
ঘ) কেন জনপ্রিয়?
শান্তির অভয়াশ্রম: শহরের ঝামেলা থেকে দূরে নিরিবিলি পরিবেশ; পরিবার-বন্ধ্র ও গ্রুপ ট্যুরে চমৎকার জায়গা।
জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ট্রেইল: বাল্কির জাকাল থেকে পাওয়া বাঘের সামান্য সাক্ষাৎ—সবই মূল আকর্ষণ।
দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু: বিলের উপর নির্মিত জেড আকৃতির সেতু পর্যটককে খোলা আকাশের নিচে ঘোরার সুযোগ দেয়।
ঐতিহাসিক, পৌরাণিক মিশ্রণ: সীতাকোট বিহার ও বাল্মিকী মুনি সংক্রান্ত কিংবদন্তি ইতিহাসের একটি আভাস দেয়।
ঙ) থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা।
🛏️থাকার ব্যবস্থা: উদ্যানের আশেপাশে তেমন পাকা হোটেল নেই; দিনের মধ্যেই ঘুরে ঢাকার আগে রাত যাপন দিনাজপুরে করাই সুবিধাজনক।
দিনাজপুরে ছোট থেকে মাঝারি মানের হোটেল (৫০০–২০০০ টাকা রেঞ্জে) পাওয়া যায়।
🍽️খাবার ব্যবস্থা: উদ্যানে ক্যাফে নেই; শহর থেকে খাবারের ব্যাগ নিয়ে গেলে ভালো হয়। পিকনিকে কেউ কেউ বাড়ি থেকে ভোজন আনেন; গরামীন রেস্টুরেন্ট/ঢাবা থেকে খাবার এনে খাওয়া যায়।
🌳দিনাজপুর জেলার ঐতিহাসিক রাজবাড়ি (Dinajpur Rajbari).
ক) কেন পর্যটকরা ঘুরতে যায়?
ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যশৈলী: ১৫‑১৮ শতকের রাজা ও জমিদারদের বাসভবন—Aina Mahal, Rani Mahal, Thakurbadi Mahal—এবং হাত কাটা খাল, প্রাচীরবেষ্টিত প্রাসাদ, মন্দির, জলে ডুবেছে উদ্যান ইত্যাদি আকর্ষণ যোগায়।
ঐতিহ্য ও কিংবদন্তি: রাজা গণেশ, প্রান্নাথ, রমনাথদের সময়কাল ও রাজবংশের ইতিহাস পর্যটকদের উত্তেজিত করে।
ফটোগ্রাফি ও রহস্যময় পরিবেশ: ধ্বংসাবশেষ নানা গৃহপাচার স্থাপনা, সিংহদ্বার আর খালি প্রাসাদ — ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য দৃশ্য।
খ) কিভাবে যাওয়া যায়?
দিনাজপুর শহর থেকে: উত্তর-পূর্ব দিকে (~১ কিমি), রাজারাম্পুর গ্রামের কাছে অবস্থিত। অটো বা রিকশায় সরাসরি পৌঁছানো যায়।
ঢাকা/রাজশাহী থেকে: বাস (নাবিল, শ্যামলী, বাবলু, কেয়া প্রভৃতি; ভাড়া ৬০০–৯০০ টাকা) বা ট্রেনে (একতা/দ্রুতযান; শোভন চেয়ারে ≈ ২৫০ টাকা) দিনাজপুরে এসে, পরবর্তীতে লোকাল পরিবহনে রওনা জানা যায়।
গ) ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
✅শীতকাল (নভেম্বর–ফেব্রুয়ারি) উপযোগী: আবহাওয়া মনোরম, ঘোরাঘুরি ও ছবির জন্য আদর্শ।
🚫বর্ষা (জুন–সেপ্টেম্বর) এড়িয়ে চলা ভালো: ধ্বংসাবশেষে পানি জমে ও কাদামাখা হয়—সেখানে হাঁটার সময় সাবধানতা প্রয়োজন।
(উল্লেখ নেই নির্দিষ্ট উৎস, কিন্তু আবহাওয়ার সুপারিশ সাধারণ পর্যটন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে)
ঘ) কেন জনপ্রিয়?
ইতিহাস ও রুচিশীল স্থাপত্য: তিন মহল, স্বর্ণসদৃশ গ্লাস-মার্বেল, জালসা ঘর–এমনকি লায়ন গেট ও মোহরা—সবই আকর্ষণীয়।
গুপ্ত সৌন্দর্য: ভাসমান জলাশয়, পুরনো ফুলবাগান, জঙ্গলি আঁধার—রোমাঞ্চকর ও আবেগপ্রবণ করে তোলে ভিজিটরদের।
পর্যটক কেন্দ্রিক না হলেও প্রামাণ্য রঙ: সরকারি নজর না থাকলেও, ঐতিহাসিক শিক্ষা ও ফটোগ্রাফি ছাড়াও স্থানীয় সংস্কৃতির এক অভিনব সাক্ষাতকার এখানে পাওয়া যায়।
ঙ) থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা।
🛏️থাকার ব্যবস্থা:
দিবে–রে–ট্রিপ হিসেবে দিনাজপুরে ডেরা, রাতের জন্য শহরে “Parjatan Motel”, “Al Rashid Hotel”, “Hotel Diamond”, “Hotel Unique”–এর মত হোটেল রয়েছে।
সরকারি “Dinajpur Circuit House”, “Caritas Guest House” ও সার্কিট হাউজ–এও থাকতে পারেন।
🍽️খাবারের ব্যবস্থা:
উদ্যানে কোনো ক্যাফে বা রেস্টুরেন্ট নেই, তাই শহর থেকে নিয়ে যায়।
স্থানীয় শহরের রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আনা সহজ; কিছু হোটেল নিজেরাই খাবারের ব্যবস্থা দেয়।
🏝ঘোড়াঘাটের দুর্গ (ফোর্ট) ও বাগুড়া/সুরা মসজিদ:Ghoraghat Fort and Bagura Mosque.

মোগল কাঠামোর নিদর্শন: দুর্গের মধ্যে ১৭৪১ সালে সংযুক্ত ঘোড়াঘাট ফোর্ট মসজিদ, ফৌজদারের বাসভবন ও অন্যান্য প্রশাসনিক ভাস্বর্চনের নিদর্শন এখনও দেখা যায়।
সুরা (বাগুড়া) মসজিদ: প্রায় ৫০০ বছর পুরানো, হোসেন শাহ রাজত্বকালের এক-গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ, তার টেরাকোটা অলংকরণ ও আর্কিটেকচার সেরা মুসলিম স্থাপত্যের নমুনা।
দিনাজপুর থেকে ঘোড়াঘাট: দিনাজপুর সদর থেকে ≈৪–৬ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে, ক≫রতোয়া নদীর পাড়ে। সড়ক-পরিপন্থি: অটো বা রিকশায় সরাসরি যাওয়া যায়।
ঢাকা/রাজশাহী/রংপুর থেকে: ট্রেন বা বাসে দিনাজপুর আসা যায়, এরপর লোকাল পরিবহনে সহজ যাতায়াত।
মূল আকর্ষণ: সম্পূর্ণ মাটির দুর্গ, গভীর খাল, পরিখা, ফৌজদার মসজিদ ও রাজধানী-শৈলীর জীবন্ত প্রমাণ।
স্থাপত্যের শিল্পরাশি: সুরা মসজিদের টেরাকোটা নকশা, গম্বুজ ও মিনার শিল্পের শৈলী মুসলিম স্থাপত্যপ্রেমীদের মুগ্ধ করে।
সকালে বা বিকেলে ঘোরা মানে দিনে ঢাকা ফেরা সম্ভব; রাতে থাকার জন্য দিনাজপুরে অপশন আছে।
শহরে “Parjatan Motel”, “Al Rashid Hotel”, “Hotel Diamond”সহ বিভিন্ন মোটেল ও হোটেলে রাত যাপন সম্ভব।
দুর্গ বা মসজিদ এলাকায় ক্যাফে নেই; শহর থেকে বা হোটেল থেকে খাবার নিয়ে আনা নিরাপদ।
অনেক ভ্রমণকারী দিয়ে নেয় পিকনিক ফুড, স্থানীয় ঢাবা-ঢাঙ্গারভিত্তিক খাবার থেকেও সেবা নেয়া যায়।
🚂পার্বতীপুর রেলওয়ে জাদুঘর ও রেলওয়ে ঐতিহ্য:Parbatipur Railway Museum and Railway Heritage.

ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশনের কেন্দ্রীয় কাজশালার (লোকোমোটিভ কারখানা) দর্শন – এটি পশ্চিম অঞ্চলের একমাত্র এবং বাংলাদেশের দুই লোকোমোটিভ কারখানার একটি, যেখানে ইঞ্জিন মেরামত ও বগি তৈরির কাজ এখনও চলছে।
ভাসমান/ভ্রমণকারি রেলবগি জাদুঘর (মোজাম্মেল ‘বাংলাদেশ রেলের বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’) – স্থলভ্রমণে ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।
রেলওয়ের অনন্য যন্ত্রপাতি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – ইঞ্জিন, সিগন্যাল, ট্রেন সুইচ, বোতাম, মনোগ্রাম, বাতি, হেডফোন, রাষ্ট্র ভাষণের রেকর্ড, আলামতসহ বহু সংগ্রহ এখানে রয়েছে।
ঢাকা/রাজশাহী/রংপুর থেকে দিনাজপুর: ট্রেন বা বাসে পৌঁছে দিনাজপুর থেকে পার্বতীপুর যাওয়া যায়।
দিনাজপুর থেকে: বাস টার্মিনাল বা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ≈১–২ কিমি রাস্তা। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ভ্যান, অটো-বাইক ও বাইসাইকেল পাওয়া যায়।
পার্বতীপুর জংশন: এটি চারটি লাইনের সংযোগস্থল ও দিনাজপুর বিভাগের
দৈনন্দিন বা ডে-ট্যুর হয়—দিনাজপুর বা পার্বতীপুরে রাত কাটালে সুবিধাজনক।
দিনাজপুরে "Parjatan Motel", "Al Rashid Hotel", "Hotel Diamond" প্রভৃতি রয়েছে।
জংশনে খাবারের সুবিধা সীমিত।
দিনের জন্য দুপুর খাবার সহ যাবার জন্য খাবার সঙ্গে নিয়ে যেতে বা পার্বতীপুর–দিনাজপুর শহরের হোটেল থেকে গ্রহণ করতে হবে।
🎪দীপশিখা(Deepshikha) মেটি স্কুল।
অনন্য নির্মাণশৈলী: সম্পূর্ণ মাটি, বাঁশ, খড় ও প্রাকৃতিক উপভোকরণ দিয়ে তৈরি, যা বিশ্বখ্যাত স্থপতি আন্না হিয়ারিঙ্গার ও আইকে রোওয়ার্গের তত্ত্বাবধানে নির্মিত—এটি পরিবেশ-বান্ধব এবং সময়োপযোগী।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: ২০০৭ সালে আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার লাভ করে, এছাড়া অন্যান্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন।
ঢাকা থেকে দিনাজপুর: গাবতলী বা কল্যাণপুর থেকে বাস—নন-এসি ৮০০–১,৫০০ টাকা, এসি/ট্রেনে ৬৩০–২,২১৮ টাকা।
🛏️থাকার ব্যবস্থা: উন্নত থাকার জন্য দিনাজপুর শহরে “Parjatan Motel”, “Al Rashid Hotel”, “Hotel Diamond” ইত্যাদি মোটেল ও হোটেল রয়েছে।
🍽️খাবারের ব্যবস্থা: জন্মভূমির কাছাকাছি এলাকার রেস্টুরেন্ট বা শহরের হোটেল- থেকে খাবার নিয়ে যাওয়া যায়।
🏛️কাহারোল বৌদ্ধ বিহার(Buddhist Monastery) ও প্রাচীন স্থাপনা।
ঢাকা/রাজশাহী/রংপুর থেকে দিনাজপুর: ট্রেন বা বাসে এসে, দিনাজপুর থেকে কাহারোলে যান।
দিনাজপুর থেকে কাহারোল: স্থানীয় বাস বা সিএনজি/অটো যাওয়া যায়।
কান্তনগর মন্দির/নয়াবাদ মসজিদ: উপজেলা সদর থেকে সোজা যান; প্রায় ৬–৭ কিমি পথ, রাস্তাও সুবিধাজনক।
বিশ্বমানের টেরাকোটা শিল্প: কান্তনগর মন্দির বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ টেরাকোটা অলঙ্করণে পরিচিত—প্রাচ্য–ঐতিহাসিক দৃশ্য ও দেবদেবীর মূর্তি ফুটানো হয়েছে ভিড় করে।
দিনাজপুর শহরে হোটেল, মোটেল (যেমন Parjatan Motel, Al Rashid Hotel) রয়েছে; কাহারোলে এ ধরনের আলাদা আবাসন নেই।
সারাদিনের ডে-ট্রিপ হিসেবে ঘোরা যায়, রাতে শহরে ফিরে থাকাই সুবিধাজনক।
কাহারোলে ক্যাফে বা রেস্টুরেন্ট সীমিত, তাই খাবার নিয়ে যাওয়া বা শহরে খাওয়া ভালো—নজদিকেই দুপুর বা স্ন্যাক্সের ব্যবস্থা করতে হবে।
🚧হাকিমপুর হিলি স্থলবন্দর ও সীমান্ত এলাকা:Hakimpur Hili Land Port and Border Area.

দুই দেশের সীমান্ত ভ্রমণ ও দর্শন: হিলি স্থলবন্দর হল বাংলাদেশ–ভারতের সীমান্ত চেকপোস্ট, যেখানে জিরো‑লাইনের কাছে দাঁড়িয়ে দুই দেশের মিলে‑মিশে থাকা গ্রামীণ জীবন উপভোগ করা যায়।
বাণিজ্য ও রেলওয়ে ঐতিহ্য: রেলস্টেশন, স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন পয়েন্টের জীবন্ত দৃশ্য শিক্ষণীয় ও দৃশ্যপট দিয়ে পর্যটক আকৃষ্ট হয়।
ঢাকা/রাজশাহী/রংপুর থেকে দিনাজপুর – বাস বা ট্রেনে।
দিনাজপুর থেকে হাকিমপুর (হিলি) – ≈ ৪০–৫০ কিমি দূরে, সরাসরি বাস বা রেজিস্টার্ড বাস বা ট্রেনে আসা যায়; এরপর লোকাল সিএনজি বা অটোতে যথেষ্ট সহজে পৌঁছানো সম্ভব।
হিলি রেলস্টেশন ও রাস্তা সংযোগ – চিলাহাটি–পার্বতীপুর–সন্তাহার–দর্শনা লাইনে অবস্থিত; হিলি রেলস্টেশন থেকে ঢাকা‑দেওয়া আন্তরাজ্যবাস কিংবা রিকশা/অটো পাওয়া যায়।
✅শীতকাল (নভেম্বর–ফেব্রুয়ারি) – সবচেয়ে আদর্শ সময়: হালকা আবহাওয়া ও পরিষ্কার স্কাই দুই দেশের সীমানা, ট্রাক লাইনের দৃশ্য, বাড়তি মানুষ—সবই উপভোগ্য হয়।
দুই দেশের মেলবন্ধন: স্থানীয়রা “ডে পাস” পেয়ে একে অপরের জেলায় ছোট‑খাটো ভ্রমণ করে সাংস্কৃতিক বিনিময় করে ।
ইতিহাস ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব: এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর; ১৯৮৬ সালে চালু, ২০০৫ থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনাধীন; হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট রাস্তা উন্নয়ন চলছে।
ডে‑ট্রিপ হিসেবে ঘোরা সহজ ও জনপ্রিয়।
রাত্রিযাপন: প্রধান শহর দিনাজপুরে “Parjatan Motel”, “Al Rashid Hotel”, “Hotel Diamond”–এর মতো হোটেল পাওয়া যায়।
বন্দর ও সীমান্ত এলাকায় কোনো রেস্টুরেন্ট নেই, তাই সাথে পিকনিক বা শহরের ঢাবা/হোটেল থেকে খাওয়া সুবিধাজনক।
0 Comments